নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় মো. আইনুল হক (৭০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। হত্যার পর ছেলে নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে আটক ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেজেরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই ছেলের নাম মো. ইয়াসিন হক (৩০)। তিনি নিয়মিত মাদক সেবন করতেন বলে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আজ সকাল থেকে বাড়িতেই ছিলেন বাবা মো. আইনুল হক ও ছেলে মো. ইয়াসিন হক। সকাল ১০টার দিকে বাবার কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চান ইয়াসিন। বাবা টাকা দিতে রাজি না হলে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ঘরে থাকা দা দিয়ে ইয়াসিন তাঁর বাবা আইনুলকে কোপালে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপর ইয়াসিন নিজেই বাড়ির একটি মুঠোফোন থেকে ৯৯৯-এ কল দিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে রায়পুরা থানা-পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ইয়াসিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক ইয়াসিনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছেলেকে আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা জব্দ করেছেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ছেলে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বশির উদ্দিন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াসিন নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। তাঁর অত্যাচারে বাড়ির মানুষ ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। মাদকের টাকা না দেওয়ায় আজ সৎমায়ের সামনেই বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।